আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
জেলা প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত, বসতঘরসহ ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘতেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারে ।
সোমবার রাত ৮টায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল ঢালী (৩২) বিল্লাল হোসেন (৩৫) সাহালম (২৮) এবাদুল (৩২) মাসুদ (৩৪) মতিন রাড়ী (২৫) মোতালেব রাড়ী (৫০) মিজান(৪০) গিয়াসউদ্দিন সরদার(৪১) রোমান (১৮) হান্নান সরদার (৩২) কামাল ফকির (৫০) স্বপন ফকির (৩২) সেলিম বেপারী(৩০) জাকির হোসেন (৩৪) খলিল (২৮) মিনহাজ (৪৫)আজগর হোসেন (২২) মো. রাসেল (২৩) বাদল বেপারী (৫০) আবু আসাদ (৩৫) আ. গনি বেপারী(৬৫) জসিম খাঁ (৩৪) হাসেম ফকির (৩৫) ও বাসার তালুকদারসহ(৩৫) প্রায় অর্ধশতাধিক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্যবিদায়ী সভাপতি ও চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বেপারী ও বিএনপি থেকে আ. লীগে যোগদানকারী মো. তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সমর্থকদের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৩ ঘণ্টাব্যাপী দু’গ্রুপের সংর্ঘষ হয় এতে উভয়পক্ষেরআহতদের মাদারীপুর ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
এছাড়াও লক্ষিপুর বাজারের ব্যবসায়ী মানিক সরদার, দানেশ সরদার. ছত্তার সরদার, মনু মেম্বর, হানিফ হাওলাদার, সামচু হাওলাদার, মরন মিয়া, লিটন সরদার, রিপন সরদার, রমি সরদার ও দবির বেপারীর ১টি বসতঘরসহ ১২টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে। পড়ে কালকিনি থানার ও মাদারীপুর জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
আহতদের মাদারীপুর ও শরীয়তপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী বলেন, ‘আমি আওয়ামী স্বাধীনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আর মোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। তার ছেলে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।’
সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ‘ফজলুল হক বেপারী অন্যায় অত্যাচার করায় তার প্রতিবাদ করতে গেলে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।’
কালকিনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্দু বালা জানান, মাদারীপুর জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
প্রতিক্ষন/এডি/মেহেদী